বিরতির মিনিট কয়েক আগে বাংলাদেশকে সমতায় ফিরিয়েছিলেন মজিবুর রহমান জনি। আর ম্যাচের যোগ করা সময়ে দলকে লিড এনে দেন পাপন সিং। তাতে অনেক কষ্টের পর কাঙ্ক্ষিত জয়ের দেখা পেলো বাংলাদেশ।
কিংস অ্যারেনায় শনিবার (১৬ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে মালদ্বীপকে ২-১ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ।
ফুটবলে এক মিশ্র অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীরা। একপ্রান্তে নারী দল বিজয় কেতন উড়িয়ে গেলেও অন্যপ্রান্তে ছেলেরা দিনের পর দিন হতাশ করে যাচ্ছে। নারীরা যেখানে টানা দ্বিতীয় সাফ জয়ের আনন্দে দেশবাসীকে ভাসালো, সেখানে ভুটানের পর ঘরের মাটিতে মালদ্বীপের বিপক্ষেও হেরে কষ্ট বাড়িয়েছে ছেলেরা। দুই প্রীতি ম্যাচের প্রথম ম্যাচে বুধবার (১৩ নভেম্বর) ১-০ গোলে হারের পর তো সমর্থকরা কিংস অ্যারেনার বাইরে বিক্ষোভও করে। দলের ব্যর্থতার জন্য টিম ম্যানেজমেন্টের দুর্নীতি এবং স্বজনপ্রীতির অভিযোগ তোলে তারা।
তবে দ্বিতীয় ম্যাচে সমর্থকদের আর হতাশ করেননি সোহেল-তপুরা। যদিও ম্যাচের লাল-সবুজদের পারফরম্যান্স খুব একটা আশাব্যঞ্জক ছিল না। ম্যাচের ২৩তম মিনিটে স্বাগতিকরা যে গোলটি হজম করে সেটাও রক্ষণের ভুলে। সতীর্থকে পাস দিতে গিয়ে মালদ্বীপের এক খেলোয়াড়ের পায়ে বল দেন তপু বর্মণ। সেখান থেকে সতীর্থের পাসে বক্সের ভেতর বল পেয়ে যান আলি ফাসির। শরীরটাকে ঘুরিয়ে বাঁ পায়ের দারুণ প্লেসিংয়ে বল জালে জড়ান এই ফরোয়ার্ড।
এরপর সমতায় ফেরার চেষ্টা চালিয়ে যায় বাংলাদেশ। কিন্তু আক্রমণে ঠিকঠাক সুবিধা করতে পারছিল না। বিপরীতে লিড বাড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যায় মালদ্বীপ। কিন্তু মিতুল মারমা প্রতিপক্ষকে আর জালে বল জড়াতে দেননি। অন্যদিকে অনেক চেষ্টার পর বিরতির আগে ৪৩তম মিনিটে কাঙ্ক্ষিত সাফল্যের দেখা পায় লাল সবুজরা। দারুণ এক গোলে দলকে সমতায় ফেরান জনি। মোরসালিনকে পাস দেন জনি, ফিরতি পাস পেয়ে বক্সের সামনে থেকে ডিফেন্ডারদের বোকা বানিয়ে ডান পায়ের দারুণ এক শটে টপ কর্ণার দিয়ে বল জালে জড়ান তিনি। সমতা নিয়ে মাঠ ছাড়ে দুদল।
বিরতির পর গোলের উদ্দেশে চলে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ। এর মধ্যে ৮৪তম মিনিটে একেবারে সহজ সুযোগ নষ্ট করে হতাশ করেন অভিষিক্ত পিয়াস আহমেদ নোভা। ডি-বক্সের বাইরে থেকে শাহরিয়ার ইমনের দূরপাল্লার শট ঠেকালেও গ্লাভসবন্দি করতে ব্যর্থ হন মালদ্বীপের গোলরক্ষক। বল পেয়ে যান কাছাকাছি থাকা নোভা। কিন্তু ফাঁকা জাল পেয়েও শট নিতে ব্যর্থ হন তিনি। শেষ পর্যন্ত সে হতাশা কাটান ইমন-জনি মিলে।
যোগ করা সাত মিনিটের তৃতীয় মিনিটে বাঁ প্রান্ত ধরে আক্রমণে উঠেন ইমন। মালদ্বীপের এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে গোলমুখে পাস দেন সতীর্থদের উদ্দেশে। বল পেয়ে কোনো ভুল করেননি পাপন সিং। দলকে এনে দিলেন জয়সূচক গোল। অনেক হতাশার গল্পের পর সাফল্যের গল্প লিখে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। তাতে লাল-সবুজদের বছরের শেষ ম্যাচটা শেষ হলো জয় দিয়ে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Voice Protidin Desk